ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজ পার্শ্ববর্তী এলাকায় এক সুপরিচিত নাম, এক আলোকিত বিদ্যাপীঠ। ছায়াঢাকা, সুনিবিড়, প্রাকৃতিক মনোরম পরিবেশ ও সৌন্দর্য্যমন্ডিত গ্রাম কদিমধল্যা। এই গ্রামেই ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের পাশে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠান। মহান প্রতিষ্ঠাতা ড. খোন্দকার শওকত হোসেন মুক্তিযোদ্ধা, সাবেক সচিব, সভাপতি গভনিং বডি ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজ। অত্র প্রতিষ্ঠান কোন পূর্ব পরিকল্পিত প্রতিষ্ঠান নয়। এক আবেগঘন মুহূর্তে প্রতিষ্ঠিত একটি প্রতিষ্ঠান। প্রতিষ্ঠানটি প্রতিষ্ঠার ঠিক আগ মুহূর্তে প্রতিষ্ঠাতা মহোদয় জানতে পারেন যে, তাঁর নিজ এলাকার ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার হাল-হকিকত। দেখা যায় প্রায় ৮০ ভাগ ছেলেমেয়ে প্রাইমারি পাশ করার পর নতুন কোন প্রতিষ্ঠানে ভর্তি হয় না। যে ২০ ভাগ ছেলেমেয়ে দূরবর্তী হাইস্কুলে ভর্তি হয় তাদের মধ্যে অধিকাংশই দূরত্ব, অভাব-অনটন ও নানাবিধ সমস্যার কারণে এসএসসির গন্ডি পেরুতে পারে না। এমনই উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ২০১০ সালের ২ জানুয়ারি ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণিতে অল্প সংখ্যক ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তির মাধ্যমে অত্র প্রতিষ্ঠানের যাত্রা শুরু হয়। প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের নিজ সহধর্মিণী ও প্রিয় দাদীর নামে নামকরণ করা হয় অত্র প্রতিষ্ঠানের। আজ ইতোমধ্যেই দশ বছর অতিক্রান্ত হয়েছে। গত দশ বছরে অত্র প্রতিষ্ঠানের অসামান্য প্রাপ্তি রয়েছে। পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান গুলোর সাথে সুনামের সাথে উচ্চারিত হয় ড. আয়েশা রাজিয়া খোন্দকার স্কুল এন্ড কলেজের নাম। অত্র প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রী সহস্রাধিক। প্রতিষ্ঠানটির রয়েছে নিম্নমাধ্যমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক এর স্বীকৃতি। সে সাথে সদ্য সমাপ্ত বছরে নিম্ন-মাধ্যমিক পর্যায়ে এম পি ও প্রাপ্তি আরেক ধাপ সফলতারই অংশ। অবকাঠামোগতদিক থেকে উজ্জলময়, রয়েছে চারতলা বিশিষ্ট স্কুল ও কলেজের দৃষ্টিনন্দন দুটি ভবন। সুপ্রশস্ত খেলারমাঠ তো রয়েছেই। ছাত্র-ছাত্রীদের জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল অনেক আশাজাগানীয়। স্থানীয় পর্যায় যেমন ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা সহশিক্ষা কার্যক্রমে বিভিন্ন পুরস্কার প্রাপ্তি বাড়তি আনন্দ যোগ করে।
পরিশেষে অত্র প্রতিষ্ঠানটির উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি, প্রতিষ্ঠাতা মহোদয়ের দীর্ঘায়ু, সর্বোপরি শুভ দশ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে প্রথম প্রকাশিত স্মরণিকার সাফল্য কামনা করছি।